Saturday, 19 April, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে চাকরি হারাবে কয়েক লাখ শ্রমিক: বিপিজিএমইএ

অনলাইন ডেস্কঃ

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) আশঙ্কা প্রকাশ করে জানায়, একবার ব্যবহারযোগ্য (ওয়ান টাইম) প্লাস্টিক বন্ধ হলে এ খাতের ৬ হাজার শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে কয়েক লাখ শ্রমিক কর্মচারীর চাকরি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলেও মনে করছে সংগঠনটি ।

রোববার (১২ জানুয়ারি ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় বিপিজিএমইএ)। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএ সভাপতি সামিম আহমেদ বলেন, প্লাস্টিক পণ্য (ওয়ান টাইম) বন্ধ করার প্রচেষ্টার ফলে প্লাস্টিক খাতের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং লিংকেজ হিসেবে অন্যান্য খাতের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে । 

তিনি বলেন, এই আইনের কারণে শিল্প বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি বাজারে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, দেশের পরিবেশ দূষণমুক্ত করা এবং পরিবেশ উন্নয়নে ২০০২ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ বন্ধ করে দেয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়। এতে প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ প্রস্তুতকারক ৩০০ বড় কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে অনেক শ্রমিক কাজ হারান।

বিপিজিএমইএ জানায়, ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি সাড়ে ১২ শতাংশ। মোট রপ্তানি-২ হাজার ৪৬২ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগের বছরে ছিল ২ হাজার ১৮৮ কোটি ডলার। অর্থ্যাৎ ২৭৪ কোটি ডলার বা ১২.৫২% বেশী হয়েছে।  

৯ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশী অ র্থ্যাৎ ১০-১৩ শতাংশের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। বছর জুড়ে মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপণ্যের উর্দ্ধগতি ছিল। মানুষ নাকাল হয়েছে। জ্বালানী সংকটে ইতোমধ্যে বন্ধ হয়েছে ২০০ কারখানা, ঝুঁকিতে আছে আরো ৩০০ কারখানা।

তৈরি পোশাক, এসি রেস্তোরা, নন এসি হোটেল, মিস্টিসহ ৪৩ ধরণের পণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়তে পারে। কোন আলোচনা ছাড়া ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তটি অবিবেচনাপ্রসূত। এতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। নতুন করে সংকটে পড়বে ব্যবসা-বাণিজ্য। আমরা মনে করি, ভ্যাট কম হলে মানুষ স্বাচ্ছন্দ বোধ করে।

বর্তমানে ডলার এর উর্দ্ধগতি ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করছে। বর্তমানে এক ডলার সমান ১২১.৯৫ টাকা। বিগত সরকারের সময় ডলার সংকট তীব্র হয় যার ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। ডলার সংকট সমাধানে পদক্ষেপ বাঞ্চনীয়।

এ প্রেক্ষিতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পুরোপুরি নিষিদ্ধ না করে বিকল্প কিছু প্রস্তাব দিয়েছে বিপিজিএমইএ। সেগুলো হলো-

১. প্লাস্টিকের পুনঃচক্রায়নের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করা। এর ফলে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানো এবং মহাসাগরীয় প্লাস্টিক দূষণ রোধ করার ব্যবস্থা নেয়া;

২. অর্থনৈতিক প্রভাব কী হবে- তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিডা, এফবিসিসিআই এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া;

৩. যেহেতু ইউএনএ’র রেজুলেজুলেশন অনুযায়ী ২০৩০ সাল পর্যন্ত একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক বন্ধের কথা আছে, সে অনুযায়ী বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া;

৪. ১৭টি পণ্য নিষিদ্ধ হলে জিডিপি কমে যাবে এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আসবে না । এতে করে যেসব বিদেশি কোম্পানির বিনিয়োগ আছে, তারা চলে যেতে বাধ্য হবে । কারণ প্যাকেজিং ছাড়া কোনো পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব নয়। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়গুলো বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত